এই পোস্টটিতে ব্যাংক একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে পাসপোর্টের জন্য আবেদন ও ডলার এন্ডোজমেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো দেয়া হয়েছে। তাই,,প্রয়োজনে পোস্টটি সম্পুর্ন পড়ুন,,,
সহজেই একটি ডুয়েল কারেন্সি ডেভিড কার্ড বা মাস্টার কার্ড পেতে হলে নিম্নের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো অবশ্যই লাগবে।
১) নিজের আইডি কার্ডের ফটোকপি।
২) ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৩) একজন নমিনি এবং তার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
৪) একাউন্ট একটিভ করার জন্য সামান্য কিছু টাকা। এটা বিভিন্ন ব্যাংকভেদে আলাদা হতে পারে।
নিজের আইডি কার্ড না থাকলে বাবা অথবা মায়ের আইডি কার্ড দিয়ে একাউন্টটি করতে পারেন।
উপরের কাগজপত্র নিয়ে সশরীরে নিকটস্থ ব্যাংকে যেতে হবে। যেসকল ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি ডেভিড কার্ড প্রদান করে সেসকল ব্যাংকে যেতে হবে। বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক সাধারনত ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রদান করে। হয়তো বা আরও বিভিন্ন বাংলাদেশের ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সেবা দিয়ে থাকে তবে সেটা আমার জানা নেই। একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট বা সেভিং একাউন্টের আন্ডারে কেবল একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ব্যাংক কর্মচারীরা প্রথমে আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারে আপনি কোন ধরনের একাউন্ট খুলবেন। এক্ষেত্রে আপনি তাদের বলবেন আমি একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের জন্য আবেদন করবো। তখন তারাই ঠিক করবে আপনার কোন একাউন্ট লাগবে।
একাউন্ট খোলা হলে তারা জিজ্ঞেস করবে বা তাে আগেই বলতে পারে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিয়ে কি করবেন। সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে কাজ করবেন এই কথাটি বলবেন। বিভিন্ন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পাবেন। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা কাজের ধরন অনুসারে এই কার্ড গুলো বিভিন্ন একসেস দিয়ে থাকে। ইসলামি ব্যাংকের এরকম বিভিন্ন ডুয়েল কারেন্সি কার্ড রয়েছে যেমনঃ platinum debit card, gold card, Master card, etc তাই আমি কার্ডের জন্য আবেদন করার আগে তাদের সাথে কথা বলে নিয়েছি। যেমন ঃ google play Console account ক্রয় করার জন্য আমি platinum debit card নিয়েছিলাম।
এই কার্ড দিয়ে এমাজনের মত বাহিরের দেশের সাইট গুলো থেকে যেকোন পণ্য ক্রয় করতে পারবো এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আমার কার্ড থেকে ডলার ব্যাবহার করতে পারবো। তাই,,কি জন্য কার্ড নিবেন সেটা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আগেই বলে রাখবেন নয়তো কাঙ্খিত কার্ড মিস করবেন।
একাউন্ট খোলা হলে সেদিনই একাউন্টে কিছু টাকা জমা দিয়ে একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ১৫-৩০ দিনের মধ্যেই ব্যাংকে কার্ড চলে আসবে। তাছাড়া মাঝে মাঝে ব্যাংকে খোঁজ নিয়েও দেখতে পারেন কার্ড আসছে কি না।
৫) কার্ডটি হাতে পাওয়ার পড় আপনার নিকটস্থ কোন ATM বুথ থেকে কার্ডটি Actived করে নিবেন।
৬) যেভাবে কার্ড থেকে ডলার ব্যাবহার করবেন
কার্ড থেকে ডলার ব্যাবহার করতে চাইলে অবশ্যই একটি মেয়াদ থাকা পার্সপোট লাগবে।
৭) যেভাবে সহজেই একটি পাসপোর্ট পেতে পারেন
ক) আপনার আইডি কার্ড ( আপনি যে দেশের নাগরিক)
খ) আপনার বাবা ও মায়ের আইডি কার্ড।
গ) বাংলা ও ইংরেজিতে আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড।
ঘ) বিবাহিত হলে কাবিন নামা, জমির পচচা, একটি বিদ্যুৎ বিলের কাগজ (আপনার নিজের)
,চেয়ারম্যান এর সার্টিফিকেট, একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ঘ নং এর বিষয় গুলো কারো কারো ক্ষেত্রে লাগতেও পারে আবার নাও লাগতে পারে। তাই এগুলো সাথে নিয়ে যাওয়া ভালো।
ঙ) বিভিন্ন মেয়াদে এবং বিভিন্ন ডেলিভারি সময়ের তারতম্যের কারনে পাসপোর্ট এর ফি এর কমবেশি হতে পারে। সর্বনিম্ন ৫ বছর মেয়াদে সরকারি ভাবে ১ মাসের ডেলিভারিতে ৫০০০-৫৫০০ এর মধ্যেই একটি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন।
সরকারি ভাবে আবেদনের জন্য আপনি নিজেই ইন্টারনেট থেকে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারেন। www.e-passports.govt.bd এখনে গিয়ে সঠিকভাবে ফরমটি পূরন করে সাবমিট করে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনার বাবা, মা, এর আইডি কার্ডের তথ্যের সাথে আপনার আইডি কার্ডের তথ্যের মিল আছে কিনা দেখে নেবেন। নামের কোন আক্ষর ভুল আছে কি না সেটাও দেখে নেবেন। নিবন্ধন কার্ড এবং আইডি কার্ডের সাথে আপনার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে কিনা চেক করে নিন। আবেদনে কোন ভুল হয়ে থাকলে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ঠিক করে নিন। নয়তো পাসপোর্ট পাবেন না। অথবা,, পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও আবেদন করতে পারেন বা কোন অভিজ্ঞ কম্পিউটারের দোকানে গিয়েও আবেদন করতে পারেন।
চ) আবেদন সম্পুর্ন হলে আবেদনের ডকুমেন্টস এর একটি ফটোকপি কম্পিউটারের দোকান থেকে বের করে নিয়ে ব্যাংকে যাবেন। ব্যাংকটি যেন পাসপোর্ট ফি জমা নেয়ার অধিনে থাকে। সকল ব্যাংক পাসপোর্ট ফি জমা নেয় না। আবেদনের কপিসহ যাবতীয় কাগজপত্র সেখানে সাথে নিয়ে যাবেন। সেখানে একটি পেমেন্ট ফরম পূরণ করে টাকা জমা দিবেন এবং পেমেন্ট রিসিভ টা নিতে ভুলবেন না। পেমেন্ট রিসিভ নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সেখানে আপনার চোখের আইরিস, ফিন্ঙারপিন্ট, ছবি তোলা, ও সিগনেচারের কাজ গুলো করা হবে। তারা সেখানে যেকোন তথ্য চাইতে পারে তাই সকল কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে। সবকিছু হয়ে গেলে একটি পাসপোর্ট রিসিভ করার কাগজ দেবে যা পাসপোর্ট তোলার সময় অবশ্যই লাগবে। এটা হলে পাসপোর্ট দেবে না তাই এটি যত্ন করে রাখবেন।
ছ) এরপর ১০-১৫ দিনের মধ্যে আপনার দেয়া তথ্য গুলো সঠিক কি না সেটা যাচাই করার জন্য পুলিশ ভেরিফাই করতে আসবে। আসার আগে আপনাকে ফোন দেবে । সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাগজটি পাসপোর্ট অফিসে জমা দেবে। এবং কিছু দিনে মধ্যেই আপনার ফোনে বা জিমেইলে একটি মেসেজ আসবে পাসপোর্ট রেডি হয়েছে। তাছাড়া,, ইন্টারনেটের আবেদনের পৃষ্ঠায় গিয়ে দেখতে পারবেন এটা এখন কোন অবস্থায় আছে বা কি কি কাজ চলছে।
জ) পাসপোর্ট হাতে পেলে এটা নিয়ে ব্যাংকে যাবেন। যে ব্যাংক থেকে কার্ড নিয়ে ছিলেন সেই ব্যাংকের ব্রান্জ অফিসে যাবেন। অবশ্যই সাথে কার্ড ও পাসপোর্ট নিয়ে যাবেন। মোনে রাখবেন যার নামে পাসপোর্ট তার নামেই কার্ডটি হতে হবে এবং ঐ ব্যক্তিকেই ব্যাংকে যেতে হবে। ডলার এন্ডজমেন্ট হলে এটা একটিভ হতে ৭২ ঘন্টা বা তার কম সময় লাগে। ইসলামি ব্যাংকে ডলার এন্ডোজমেন্ট করার ৭২ ঘন্টা পরে তাদের কাস্টমার সার্ভিসে ফোন করে ডলার এক্টিভেট করে নিতে হয়।
2 Comments
good.Thanks for
ReplyDeleteমূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Delete