আমরা যখন নতুন কিংবা পুরাতন ফোন ক্রয় করি তখন একটি বিষয় মোনের মধ্যে ঘোরপাক খায় আর সেটা হচ্ছে ফোনটি আসল না কি নকল।

পোস্টের শেষে থাকছে দারুন একটি টিপস তাই সবটা পোস্ট পড়তে থাকুন। 

অনেক অভিজ্ঞ ভাইয়েরা ফোন হাতে নিয়ে কয়েকটি সেটিংসের মাধ্যমে বুঝতে পারে ফোনটি আসল না কি নকল।


প্রতিটি ফোনের কিছু গোপনীয় কোড থাকে যেই কোড দিয়ে ফোনে রিকুয়েষ্ট করলে কিছু অপশন বা সেটিংস চলে আসে যা নকল ফোনে আসে না বা আসলেও ফোন হ্যাং করে। বিশেষ করে ব্রান্ডের ফোন গুলো যাচাই করতে একটু ঝামেলা হয়। আমাদের দেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়িক আছে যারা আসল ফোনের পরিবর্তে নকল বা কপি ফোন বিক্রি করে। এভাবে অনেকে প্রতারনার শিকার হয়েছিল আইফোন কিংবা স্যামস্যং এর মতো ফোন ক্রয় করে। পুরাতন বা নতুন ফোন বিক্রির কিছু ওয়েবসাইটে অনেক কম দামে কিছু ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় হয়।

আরও পড়ুন,,, মোবাইলে ডাটা খরচ কমানোর উপায়

এই সাইটগুলোতে কিছু প্রতারক থাকে যারা ১২০০০, ২০০০০ টাকার নতুন ফোন ৪০০০-৫০০০ টাকা বিক্রি করতে চায়। এরা এই ধরনের কপি ফোন গুলো চরা দামে বিক্রি করে থাকে। যাই হোক,, পোস্টের মুল বিষয় হলো কিভাবে আসল ও নকল ফোন যাচাই করবো। 

১)ফোনটি হাতে নেয়ার পর বা যে ফোনটি ক্রয় করবেন বলে ভাবছেন সেটি নেটে সার্চ করে দেখুন। নেটের সকল ফিচারের সাথে বাস্তবে ফোনটির সাথে মিল আছে কি না। 

আরও পড়ুন,,,, স্মাট ফোন সুরক্ষিত রাখার উপায়

২) যে ফোনটি ক্রয় করতে চান সেই ফোনের মডেল নাম্বার এর সাথে  ”hard rest” এটা  লিখে গুগলে সার্চ করুন। এটা কিছু ব্রান্ডের ফোন সমূহের ক্ষেত্রে প্রোযোয্য। যদি কোড পেয়ে যান তাহলে কোডটি ফোনে ডায়াল করুন। ডায়াল করার পরে যদি কোন অপশন না আসে তাহলে একটু সমস্যা আছে এজন্য নিচের ধাপ অনুসরন করুন। 

৩) ফোনের ফোন মেমরি এবং র্যাম চেক করুন সব ঠিক আছে কি না ফিচারের সাথে। ফোন মেমরির সঠিক storage দেখাচ্ছে কি না। Samsung ,oppo, nokia, iphone,vivo ব্রান্ডের  ফোন সমূহের কিছু app store থাকে সেটি আপনার ফোনে ইনস্টল আছে কি না। 

৪) ফোনের সেটিংসে about device ফোন নামে একটি অপশন পাবেন সেখানে ফোনের ফিচার গুলো লক্ষ্য করুন। about device এর ভিতরে Android version নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। এখানে লাগাতার  ৫-৭ বার ক্লিক করুন তাহলে ফোনটি lolipop,sandwich, Marshallo, কি না তা দেখতে পারবেন। lollipop হলে ললিপের মত একটি আকৃতি চলে আসবে, এটাতে ক্লিক করলে রং বদলাতে থাকবে। এটা নকল ফোনে আসল ফোনের version অনুসারে হয়তো বা শো করবে না। যদি সো করেও তাহলে রং পরিবর্তন হবে না। 

 আরও পড়ুন,,,, মোবাইলে থেকে কম্পিউটার ইন্টারনেট ব্যবহার এর উপায়

তাছাড়া নকল ফোনের ফোন মেমরি ভালোভাবে কাজ করে না। কোন সময় ১৬ gb আবার কোন সময়ে ১৬ kb দেখায়। 

৫) ফোনের বডি মেটালের দিকে খেয়াল করুন। কপি ফোনের বডি মেটাল ভালো হয় না। 

৬) ফোনের ডিসপ্লে কোয়ালিটির উপর নজর দিন। কপি ফোনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি ভালো হয় না। এটা স্যাতা ভাব দেখায়। ভিডিও কোয়ালিটি, ক্যামেরা, সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি ভালো হতে পারে না। 

৭) ফোনে অল্প কিছু কাজ করাতেই গরম হয়। অনেকে ৬ gb Ram,  32 gb  ability সম্পূর্ণ গেম খেলার জন্য আসল ফোন চিনতে না পাড়ায় নকল ফোন কিনে সমস্যায় পড়েছেন। 

৮) এসকল পরিক্ষার পরেও যদি ফোনটি আসল না কি নকল বুঝতে না পারেন। তাহলে,, যে ফোনটি ক্রয় করতে চাচ্ছেন সেই ফোনটি থেকে  কোন একটি ব্রাউজারে IME check লিখে সার্চ করুন। এরপর IME.INFO নামে প্রথম ওয়েবসাইটে ক্লিক করার পরে সেখানে আপনার ফোনের IME টি দিয়ে  check এ ক্লিক করুন তাহলে ফোনটির সকল তথ্য পেয়ে যাবেন এমন কি ফোনটির নির্মাতা কোম্পানি ও কত সালে ফোনটি বাজরে রিলিজ হয়ে সে তথ্যও পেয়ে যাবেন। 

আরও পড়ুন ,,,,মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়

এছাড়ও মোবাইল ফোন কেনার সময় মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD লিখে স্পেস দিয়ে IMEI নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে মেসেজ পাঠান। ফিরতি মেসেজে ফোনটির আইএমইআই BTRC সার্ভারে নিবন্ধিত আছে কি না তা জানতে পারবেন।

পোস্ট থেকে কোন উপকার হলে পোস্টটি অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যাদে তারাও উপকৃত হতে পারে। 

ধন্যবাদ। 

মোবাইল ফোন গরম হওয়ার কারন কি?|চার্জে দিলে ফোন গরম হয় কেন