১) ডিজিটাল মার্কেটিং 

২) Seo করে ইনকাম

৩) Youtube থেকে ইনকাম 

৪) ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম 

৫) ছবি তুলে ইনকাম 

৬) ফেসবুক থেকে ইনকাম

৭) গ্রফিক্সের কাজ করে ইনকাম 

৮) মোবাইল এপ্স থেকে ইনকাম

৯) বিভিন্ন এপ্স থেকে ইনকাম। 

অনলাইন থেকে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু কিছু শর্ত অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যদি অনলাইনকে পেশা হিসাবে ধরে নেন তাহলে অন্য পেশার মানুষের যেমন কাজ তেমনি এখানেও আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আপনি  পড়াশুনা শেষ করে চাকরি পাবেন তার কি নিশ্চয়তা  আছে ?  কথাটা তিতো হলেও বাস্তব। তাই বলে কি মানুষ পড়াশোনা করবে না!

শুধু পড়াশোনা নিয়ে থাকলে এই যুগে কিছু করতে পারবেন? পাশাপাশি অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে হবে। অনেকে পড়াশোনা শেষ করে বেকার বসে থাকছে অথবা কেউ অটো পর্যন্ত চালাচ্ছে। কেউ আবার অনলাইন জগতে আসছে। অনলাইনে বেশি মানুষ প্রবেশ করার কারনে এখানে প্রচুর প্রতিযোগীতা বাড়ছে। তাই এখানে কাজ করতে হলে ধর্য ও পরিশ্রম নিয়ে কাজ করার মানসিকতা থাকা অবশ্যক।

১) ডিজিটাল মার্কেটিং 

ডিজিটাল মার্কেটিং এখন বহুল পরিচিত একটি অনলাইন মার্কেটিং এর কাজ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ সঠিকভাবে শিখতে পারলে ভবিষ্যতে ভালো একটি পজিশনে যেতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এ প্রধান কাজ হলো লোকদের মানসিকতা বোঝা। নিজেকে সৃজনশীল করে তোলা। সবসময় আপডেট থাকা। প্রডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করতে চাইলে প্রডাক্টের টাইটেল এবং  ডিসক্রিপশন আকর্ষনীয় করে লিখতে হবে। তা না হলে কাস্টমারদের প্রডাক্ট কেনার জন্য আকর্ষন করতে পারবেন না। ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। 

Facebook মার্কেটিং, ইমেইল/ জিমেইল মার্কেটিং, youtube মার্কেটিং, টুইটার, লিংকডিন, ইনস্টাগ্রামে ইত্যাদি কাজ গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ। মনে করি, কোন একটি ওয়েবসাইট, প্রডাক্ট, কোন একটি কোম্পানি আমাকে তাদের ওয়েবসাইট বা প্রডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করতে বললো। তাদের কিছু নির্দেশনা অনুসারে  কোন প্রডাক্টের মার্কেটিং করতে দিলে,  তার টাইটেল, ডিসক্রিপশন সুন্দর করে লিখবো এবং Facebook, youtube, Twitter, instagram,LinkedIn,gmail account সোশাল সাইটগুলোতে পোস্ট করে শেয়ার করতে থাকবো যাতে লোকেরা আকৃষ্ট হয়ে তার ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রডাক্টটি ক্রয় করে।

 এটাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। এই কাজগুলো upwork, fivrr, microwork, freelancer ইত্যাদি সাইট গুলোতে বেশি পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে প্রথমে একটি একাউন্ট খুলতে হবে এরপর আপনার প্রফাইলটা সুন্দর করে সাজাতে হবে। এরপর একটি সুন্দর করে গিগ তৈরি করতে হবে। গিগ হলো আপনি যে বিষয়ে ভালো কাজ জানেন তার উপর ভিত্তি করে একটা থাম্বনেইল দিয়ে তার সাথে একটি সুন্দর ডিসক্রিপশন, টাইটেল, ট্যাগ, ইত্যাদি দ্বারা একটি কমপ্লিট পোস্ট করা। 

এটাকে গিগ বলে। এই গিগ দেখে বায়ারদের পছন্দ হলে আপনাকে কাজের জন্য রিকুয়েষ্ট করবে। যখন একজন বায়ারকে আপনি ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে দিবেন তখন সে যদি ভালো রেটিং দেয় তাহলে অন্য বায়াররা সেই রেটিং দেখে ওর্ডার করবে। এভাবে তারাও যদি ভালো কমেন্ট বা ফিডব্যাক দেয় তাহলে ধিরে ধিরে অর্ডার বাড়তে থাকবে এবং ইনকামও বাড়তে থাকবে। 

তাছাড়া আপনি,  amazon, alibaba, এর মত সাইটে affiliate মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

২) Seo করে ইনকাম

অনলাইনে যারা কাজ করে তারা seo ( search engine optimization) এর আমরা অনেকেই পরিচিত। এখন অনলাইনে অনেক প্রতিযোগীতা হওয়ার কারনে অনেকে তাদের ওয়েবসাইটকে বা কোম্পানিকে গুগলের প্রথম পৃষ্ঠায় আনতে চায়। এটি seo এর মাধ্যমে করতে হয়। seo করার জন্য keyword রির্সাচ করা, keyword ডেনসিটি, ইত্যাদি চেক করতে হয়।

 এজন্য গুগলের keyword planner tools নিয়ে কাজ করতে পারেন। যখন কোন একটি ওয়েবসাইটের seo করার জন্য আপনাকে অর্ডার করবে  এবং  seo এর মাধ্যমে কোন কোম্পানি বা ওয়েবসাইটকে যখন গুগলের রেংকে নিয়ে যেতে বলবে  তখন সেই ওয়েবসাইট মালিক আপনাকে পারমানেন্ট ভাবে তার সাইটে কাজ করার জন্য হায়ার করবে । 

এজন্য  seo কিভাবে করতে হয় এ বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইউটিউবের টিউটোরিয়াল দেখে শেখা যায় কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। 

৩) Youtube থেকে ইনকাম 

youtube থেকে ইনকাম করা যায় এবং বেশিরভাগ young বয়সের৷ ছেলে মেয়েরা youtube থেকে ইনকাম করছে। youtube ইনকামের জন্য জন্য শুধু একটি ভালো কোয়ালিটির ক্যামেরা ওয়ালা ফোন লাগবে। 

youtubeing  করতে কি কি লাগে? 

*প্রথমে একটি প্রফেশনাল একাউন্ট খুলতে হবে।

* আপনি কোন ক্যাটাগরিতে ভিডিও বানাবেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিষেশ কিছু ক্যাটাগরি যেমনঃ Technology, travel, cooking, fishing, Entertainment, vlog, prank, news,  ইত্যাদি বিষয়ের যেকোন একটি ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করতে পারেন। 

* নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। মানে, প্রতিদিন ভিডিও আপলোড দিলে অনেক ভালো হয়। যদি প্রতিদিন দিতে না পারেন ১ দিন / ২দিন বা সপ্তাহে ২ টি করে ভিডিও দিবেন তাহলে youtube বুঝতে পারবে আপনি নিয়মিত ভাবে ভিডিও আপলোড করছেন যার ফলে তারা আপনার ভিডিও গুলো রেংকিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। 

* ধর্য থাকতে হবে। ৩০-৪০ ভিডিও আপলোড হলো ভিডিও গুলো বুস্ট করলে ভালো হয়। এক্ষেত্রে আপনার সাবসক্রাইবার ও ওয়ার্চটাইম বাড়তে থাকবে। আপনার চ্যানেলের ১০০০ সাবসক্রাইবার ও ৪০০০   ঘন্টা ওয়াচটাইম হলে চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করবেন। মনিটাইজেশন অন হলে আপনার ভিডিওতে এড দেখাতে পারবেন। এই এডের জন্য আপনার ইনকাম হতে থাকবে। 

* ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট করতে হবে। যেমন আপনি technology ক্যাটাগরিতে ভিডিও আপলোড দিচ্ছেন,  কয়েকটি ভিডিও আপলোড করার পরে ক্যাটাগরি পরিবতন করে travelling বিষয়ে ভিডিও আপলোড করতে থাকলেন এতে কিন্তু youtube বুঝতে পারবেনা আপনি কোন ক্যাটাগরিতে ভিডিও আপলোড দিবেন। তাই আপনার ভিডিও গুলোর রেংকিং ভালো হবে না। এতে আপনার চ্যানেল ফ্রিজ হয়ে যাবে। 

youtube এ কি কি কাজ করা যাবে না? 

১) নিজের ভিডিও নিজে বারবার দেখা যাবেনা। 

২) একই ক্যাটাগরিতে ভিডিও আপলোড করতে হবে। 

৩) অনিয়মিত ভিডিও আপলোড করা যাবেনা। 

৪) ভিডিওতে ভিও বাড়ানোর জন্য বন্ধুদের সাথে ভিডিও শেয়ার করা যাবে না। 

৫) সাব ফর সাব করা যাবে না। মানে আপনার চ্যানেলকে কেউ একজন সাবস্ক্রাইব করলো এবং সে বললো আমার চ্যানেলটাও সাবস্ক্রাইব করো। এমনটা করা যাবে না। 

৬) অন্যের ভিডিও কপি করা যাবে না। কপি করতে পারবেন কিন্তু সেটা youtube এর নিয়ম অনুসারে যত সেকেন্ড বা মিনিট ব্যাবহার করতে বলে। তার বেশি ব্যাবহার করলে আপনার চ্যানেলে যদি কপিরাইট ক্লাইম চলে আসে এবং সেটা যদি ৩ বা তার অধিক হয়ে যায় তাহলে চ্যানেলের সমস্যা  হতে পারে। 

৭) ভিডিওর থামনেইল ভিডিও এর সাথে মিল রেখে করতে হবে। 

৮) সর্ট (১ মানিটের নিচে) ভিডিও না বানানোই  ভালো, কারন এখান থেকে যে ওয়ার্চ টাইম আসবে তা কিন্তু চ্যানেলে ওয়ার্চ টাইম হিসাবে গননা করা হবে না কিন্তু এর সাবস্ক্রাইব গুলো গননা হবে । যে ভিডিও গুলো আমরা youtube এর প্রথম দিকে ভাটিকেল আকারে দেখতে পাই সেগুলো হচ্ছে শর্ট ভিডিও। 

৯)  youtube এর পলিসি না মানা। 

১০) কৃতিম ওয়ার্চটাইম এবং সাবস্ক্রাইবার কেনা থেকে বিরত থাকা

উপরের সবগুলো বিষয় যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনার চ্যানেল তাড়াতাড়ি এগোবে। এরপর যখন চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওর্য়াচ টাইম হবে তখন আপনার চ্যানেলটিকে মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। 

৪) ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম 

আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে গুগলে থেকে ইনকাম করতে পারেন। আপনি ২টি উপায়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ১) ফ্রিতে ২) পেইড করে। 

যদি আপনি নতুন হন তাহলে আমি বলবো আপনি ব্লগারে ফ্রি সাইট তৈরি করেন। যে বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে ভালোবাসেন সেই বিষয়ে লিখতে থাকুন অথ্যৎ পোস্ট করতে থাকুন। ধরুন আপনি স্বাস্থ্য বিষয়ে লিখতে ভালোবাসেন তাহলে এই বিষয় ২০-৩০ টা পোস্ট করুন এবং পোস্টের কন্টেন্ট গুলো ১০০% ইউনিক হতে হবে। এরপরে আপনার সাইট গুগল এডচেন্সের সাথে যুক্ত করে দিন। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে গুগল আপনার সাইটে বিঙ্গাপন দেখাবে যা থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। 

ব্লগ সাইট ছাড়াও আপনি wordpress ব্যাবহার করতে পারেন ব্লগিং করার জন্য। কিন্তু দুটো ক্ষেত্রেই আপনাকে ডুমেইন কিনতে হবে। এই রকম ফ্রিতে  ব্লগার সাইটটা সম্পুর্ন কিন্তু আপনার নয়। কারন সেখানে কিন্তু আপনি তাদের হোস্টিং সার্ভিস ব্যাবহার করছেন। তারা সেটা ফ্রিতে দিয়ে থাকে কিন্তু পরবর্তীতে ইচ্ছা করলে আপনার সাইটা তারা বন্ধ করে দিতে পারে কিন্তু এমনি তো আর বন্ধ করে দিবে না। আপনি যদি সাইটে কোন সমস্যা করেন তাহলে তো তারা বুজতে পারবে।সাইটে ইনভেলিড ক্লিক, ইনভেলিড ট্রাফিক ইত্যাদির কারনে আপনার সাইটের সমস্যা হতে পারে৷। আপনি যদি ভালোভাবে আপনার সাইট ব্যাবহার করেন তাহলে,, অপ্রয়োজনে আপনার সাইট তারা বন্ধ করবে না। 

আর যদি আপনি সম্পুর্ন পেইডে সাইট খুলতে চান,  মানে আপনি যদি ডুমেইন এবং হোস্টিং কিনে সাইট বানাতে চান তাহলে সেই সাইটের মালিকানা  সম্পুর্ন আপনার কিন্তু তার সিকিউরিটিও আপনাকে নিতে হবে আপনার সাইটের  কিছু হলে তার দায়ভার  গুগল নিবে না । আর ব্লগার,, তো গুগলের প্রডাক্ট । বুঝতেই পারছেন তার সিকিউরিটি নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। আপনার সাইটের সিকিউরিটি তারা দেবে। এখন কথা হচ্ছে আপনি কোনটা নেবেন সেটা আপনার সিদ্ধান্ত কিন্তু আমি নিজেও গুগলেরটা ব্যাবহার করি। অনেক ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। 

কথা হলো,, আপনি যেটা নিয়েই কাজ করুন তার জন্য প্রথমে ধর্য এবং নিয়মিত হতে হবে। 

৫) ছবি তুলে ইনকাম 

suterstack সাইটে ছবি আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন। এজন্য একটি ভালো ক্যামেরা থাকতে হবে। তাদের সাইটের রুলস অনুসারে বিভিন্ন এনগেল এ ছবি উঠাতে হতে পারে। তাই আপনাকে ছবি তোলা বিষয়ে সামান্য কিছু অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তারপরে সেখানে একাউন্ট খুলতে হবে এরপর আপনার ওঠানো ছবিগুলো সেখানে আপলোড দিলে সেই ছবি কেউ ডাউনলোড করলে বা ক্রয় করলে সেখান থেকে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। 

৬) ফেসবুক থেকে ইনকাম

ফেসবুক থেকে ২ টি উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন তাছাড়া আরও বিভিন্ন ভাবে হয় তবে এখানে প্রধান ২ টি বিষয় নিয়ে কথা বলবো। 

১) ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করে ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে নিবেন। ফেসবুক পেজ তৈরি করা নিয়ে youtube এ অনেক ভিডিও আছে দেখতে পারেন এখানে পুরো বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করলে বিষয়টা অনেক বড় হয়ে যাবে। পেজ তৈরি করার পরে যখন আপনার পেজে পর্যাপ্ত ট্রাফিক আসবে তখন পেজ মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করবেন। মনিটাইজেশন অন হলে ফেসবুকের এড সো করতে থাকবে। এভাবে এডের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন  

৭) গ্রফিক্সের কাজ করে ইনকাম। 

প্রতিদিন গ্রাফিক্সের কাজ বেড়েই চলেছে। এখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করার সুযোগ আছে। এটা শিখতে থাকা  অবস্থতেই কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর পুরোপুরি কাজ শিখলে তো কাজের অভাব থাকবে না। ছবিতে, নাটকে, আমরা যেসকল দৃশ্য দেখতে পাই তার অধিকাংশই কিন্তু গ্রাফিক্স দ্বারা নির্মিত। দেলওয়ালি, বাহুবলি, ইত্যাদি মুভি গুলোতে আমরা যেসকল দৃশ দেখতে পাই তা কিন্তু গ্রাফিক্স দ্বারা তৈরি। মুভিতে অসম্ভব কাজ গুলো গ্রফিক্স দ্বারা করানো হয়। তাই এগুলোর ডিমান্ড অনেক বেশি। অনলাইন জগতের সবচেয়ে দামী কাজ হলো গ্রাফিক্সের কাজ। বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে প্রতিটি জেলায় কারিগরি বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রতি বেশি জোড় দিচ্ছে। সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে আপনার কাজের অভাব হবে না। 

৮) মোবাইল এপ্স থেকে ইনকাম।

মোবাইল এপ্স তৈরি করে ইনকাম করা যায়। আপনার এপ্সটিতে এডমোবের এড বসিয়ে প্লেস্টোরে আপলোড দিলে সেই এপ্সে কেউ ডাউনলোড করে ওপেন করলে সেখানে এড সো করতে থাকবে। সেই এডের বিনিময়ে টাকা ইনকাম হতে থাকবে । অথবা বিভিন্ন বায়ারের কাছে এপ্স বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। দিনে দিনে android ফোনের চাহিদা বাড়ছে বুঝতে পারছেন Android apps এর ভবিষ্যৎ কেমন। এপ্স তৈরি করতে কোডিং শিখতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রগ্রামিং ভাষা জানতে হবে। java, pithon, kotlin, c++, এর  যেকোন একটি শিখতে হবে। তাছাড়া, বিভিন্ন সাইট আছে যেগুলোতে তারা এপ্স তৈরি করার সুযোগ দিয়েছে। সেখানো কোন কোডিং জানতে হবে না কিন্তু মাসে বা বছরে তাদের কিছু পেমেন্ট করতে হবে। appgycer,  thankablr, এর মধ্যে  অন্যতম দুটি  সাইট।

৯) বিভিন্ন এপ্স থেকে ইনকাম। 

এপ্সের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। যেমনঃ টিকটক, লাইকি, মাঝেমাঝে তারা তাদের এপ্স থেকে ইনকাম করতে দেয়। তাছাড়া আপনার এপ্সে এডমোবের এড লাগিয়ে প্লে স্টোরে দিতে পারেন। বিকাশ এপ্সেও মাঝেমধ্যে কিছু অফার আসে যা আপনি চোখ রাখলেই গ্রহন করতে পারেন। প্লেস্টোরে এমন কিছু এপ্স আছে যেগুলোকে earnings এপ্স বলে। এগুলো থেকে সাবধান কারন এরা সবসময়  পেমেন্ট দেয় না। যদিও লোক দেখানোর জন্য ২টি বা ৪ টি পেমেন্ট দেয়,  পরে আর কোন পেমেন্ট দেয় না। শুধু মাত্র একটি এপ্স থেকে পেমেন্ট পাবেন সেটা হলো adefly। এটা পেমেন্ট দেয কিন্তু ইনকাম খুবই সামান্য।